ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫ , ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
নানামুখী চাপে দেশের অর্থনীতি ফাঁসির জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম আমি যা, তদন্ত করে সেটাই লেখেন-আদালতে সুব্রত বাইন ব্যাংকগুলোকে ‘এআই’ প্রযুক্তি ব্যবহারের নির্দেশ নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি সারজিসের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে সংঘর্ষ বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত নিষেধাজ্ঞা মানছে না জেলেরা ঢিলেঢালা নজরদারি গাজায় ক্ষুধা-অনাহারে ২৯ জনের মৃত্যু বসতভিটায় কীটনাশকমুক্ত সবজি উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হলেন পাঁচ শতাধিক গৃহবধূ ফেনীর ১৮০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংকট বেগমগঞ্জে বন বিভাগের অভিযানে তিন প্রজাতির ৭৩ কচ্ছপ উদ্ধার আমতলীতে তিনদিনের বৃষ্টিতে দেশীয় প্রজাতির কৈ মাছ ধরার হিড়িক সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসনের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে কি না, পুনর্বিবেচনা করবে বিএনপি শাহবাগ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় অবরোধ ছাত্রদলের আন্দোলন স্থগিত করেছেন ইশরাক পদত্যাগ করলেন কুয়েটের উপাচার্য অটোপাস দেয়া হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের
তারুণ্যের সমাবেশ * ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে : তারেক রহমান * ভোট-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার : খন্দকার মোশাররফ * অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা কিছুই পাইনি : মির্জা আব্বাস * নির্বাচন পেছানো নিয়ে হেলাফেলা চলবে না : খসরু * জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমদ

নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি

  • আপলোড সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৯:৫৬:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৫-২০২৫ ০৯:৫৬:০৪ অপরাহ্ন
নির্বাচন নিয়ে হুঁশিয়ারি
নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করা চলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি। তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছেন। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। ৭ বছর আগে ভিশন ২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২ বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান। গতকাল বুধবার তীব্র গরমে ভেজা মুখ, উচ্চকিত গলায় উচ্ছ্বসিত সেøাগান, চোখে অবারিত সাহস। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ শুধু রাজনৈতিক সমাগম নয়, ফ্যাসিবাদী শাসনামলের নিপীড়নের স্মৃতিও যেন ফিরিয়ে এনেছে। এই জমায়েতে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীদের কথায় জানা যায়, বিএনপির নেতা-কর্মীরা শুধু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়, যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিশোধের লক্ষ্য ছিলেন গত ১৫-১৬ বছর। 
সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীরা বলছিলেন, বিগত সরকারের আমলে অনেককে রাতের অন্ধকারে র‌্যাব বা গোয়েন্দা সংস্থা তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তারা আর ফিরে আসেননি। অনেক পরিবারের কাছে এখনো গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের কোনো তথ্য নেই, বেঁচে আছেন কি না-তাও জানা নেই। এই রকম পরিবারের সংখ্যা শত শত। যারা আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেছেন বছরের পর বছর। বুধবার সমাবেশে যারা ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন, তাদের অনেকেই জেল খেটেছেন একাধিকবার, এমনকি পুলিশি নির্যাতনের চিহ্নও শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন।
তারা বলছেন, রাজপথে নেমে আসা এই মানুষগুলো শুধুই রাজনৈতিক কর্মী নয়, তারা নিপীড়নের ইতিহাসের জীবন্ত দলিল। নির্যাতিত এই মানুষগুলো আবার এসেছেন রাজপথে। তাদের চোখে এখন একটিই স্বপ্ন-একটি ফ্যাসিবাদহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে রাজনীতি অপরাধ নয়, মত প্রকাশ শাস্তিযোগ্য নয়, বরং অধিকার। তারা চান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি দ্রুত নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা, যেখানে কেউ রাজনৈতিক কারণে গুম হবে না, কেউ অন্যায় মামলায় বছরের পর বছর জেলে সময় পার করবে না, কেউ রাজনীতির জন্য পিতা, ভাই, পুত্র, পরিবারের সদস্য বা বন্ধু হারাবে না।
ঢাকার মগবাজার থেকে এ সমাবেশে আসা যুবদলের রফিকুল বলেন, ২০১০ সাল থেকে আমাকে ৮টা মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আমাকে না পেয়ে আমার ছোট ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদ কিংবা কোনো উৎসবেই আমি বাড়িতে যেতে পারিনি। ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।
অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভিন্নমত হয়ে উঠেছিল অপরাধ। বিরোধী রাজনীতি করার অপরাধে মামলার বোঝা, বাড়িতে হানা, চাকরি হারানো, এমনকি সন্তানের স্কুলে ভর্তি বন্ধ, এসব ছিল ভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মূল্য। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, আজ রাজপথে তারা ফিরেছেন, কিন্তু তাদের প্রত্যেকের আছে দীর্ঘশ্বাস, হারানোর স্মৃতি আর একটিমাত্র আশা- এই ভয়াবহ অধ্যায় বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোনোদিন ফিরে না আসুক।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। এ নির্বাচনের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে অভিযোগ করে তারেক রহমান বলেন, জনগণের রায়কে বাস্তবায়ন করতে হলে নির্বাচিত সরকার দরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। আমরা আবারও বলতে চাই, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারেক রহমান বলেন, যে কোনো দলের তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার একটি জবাবদিহিমূলক সরকার, দরকার একটি নির্বাচিত সরকার। তবে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে মনে হয় এরই মধ্যে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে সংস্কার নিয়ে সময় ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কারও কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে- যোগ করেন তিনি। তরুণ প্রজন্মের ভাইয়েরা ও দেশবাসী, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুতি শুরু করুন। কারা রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কারা প্রতিনিধি হবে, সেটা জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে আপনারা নির্বাচিত করুন। বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জনগণের কাছে যান। তাদের প্রত্যাশা জানার চেষ্টা করুন। তাদের প্রত্যাশা বোঝার চেষ্টা করুন। জনগণের মন জয় করুন। কারণ, জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে। যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে তারুণ্যের সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যারা নির্ধারণ করবে তারাই আজকের (বুধবার) তরুণ প্রজন্ম। আর এই বিষয়টি জানান দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছাত্রদল-যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছেন। একইভাবে তার সুযোগ্য পুত্র বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই দিনে আমরা তরুণ সমাজের কাছে আবেদন জানাবো জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ভূমিকা রাখার জন্য।  ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, দীর্ঘদিন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমাদের কী ধরনের নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে আপনারা তা জানেন। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারা ভোগ করতে হয়েছে, তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেয়া হয়েছিল। আমাদের একজন কর্মীও বাদ যায় নাই যারা জেল খাটে নাই, মামলার শিকার হয় নাই। আর এই নির্যাতনের শেষ হয়েছে ছাত্র যুবকদের আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা এই সরকারকে সমর্থন ও সাহস দিয়ে প্রত্যাশা করেছি অতি দ্রুত মানুষের নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু দশ মাস অতিক্রম করছে আমরা দেখছি জনগণের অধিকারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ভোটের অধিকার। আর ভোট এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মতো এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেন অতি দ্রুত নির্বাচন দরকার। কারণ পতিত সরকার দেশে-বিদেশে নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। তা না হলে সংস্কার ও মামলার বিষয়টিকে নির্বাচনের সঙ্গে কেন যুক্ত করা হবে। 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সাধারণ মানুষের আকাক্সিক্ষত সরকার, ছিল আস্থার সরকার। এ সরকারের কাছ থেকে আমরা কিছু পাইনি। এ সরকারের মধ্যে বেশির ভাগ (উপদেষ্টা) এ দেশের নাগরিক নন। তিনি বলেন, তারা (অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা) বলেন সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন। কিন্তু তারা ৯ মাসে সংস্কার করতে পারেন নাই, ৯ বছরেও পারবেন না। তারা কঠিন সিদ্ধান্ত নেবেন, কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি তারা জানেন। সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, করিডোর, দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড, স্টারলিংক দিয়ে কী করছেন-আপনারা মনে করছেন আমরা বুঝি না? আমরা বুঝি। দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক মানুষের ভিতরে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। আমরা কথা বললেই কাজ শেষ করার কথা বলেন। আমরা জানি, কোনো কাজ শেষ করতে পারবেন না। এ সরকারের মাথা থেকে আগা পর্যন্ত পচন ধরেছে। এসময় কিছু লোক ইচ্ছাকৃত চাঁদাবাজি করছে, এদের প্রতিহত করতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গণতন্ত্রের পথ হলো নির্বাচন। এই নির্বাচন পেছানোর হেলাফেলা চলবে না। নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে টালবাহানা চলবে না। ঐকমত্যের ভিত্তিতে যদি সংস্কার না হয় তাহলে সেই সংস্কার দেশের জনগণ মানবে না কান খুলে শুনে রাখুন। তিনি বলেন, আপনারা সংস্কার করার কে? সংস্কার করবে দেশের জনগণ। নির্বাচনের মাধ্যমে সেই সংস্কার করবে। আমীর খসরু বলেন, সংস্কারের প্রথম প্রস্তাব দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০। এরপর আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ২৭ দফা দিয়েছেন। পরবর্তীতে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ৩১ দফা দিয়েছেন।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, তারুণ্যের ভাবনায় সারা দেশে নির্বাচনী আহ্বান জানাতে আজ এখানে এসেছি।  তিনি বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ফিরে আসবে আর এই কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে তরুণরাই। জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে। আমরা ভুলতে বসেছি আওয়ামী সরকারের গুম খুম নির্যাতনের কথা। এই নেতা বলেন, আমরা এসেছি দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা চাই আদালতের সুষ্ঠু রায় বাস্তবায়ন হোক। তিনি আরও বলেন, এই পরিস্থিতিতে সকলকে আহ্বান জানাবো আমরা যেন ঐক্য ধরে রাখি। যাতে দেশে আর কোনো স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদের উৎপাত না হয়। আমরা সেরকম রাষ্ট্র সংস্কার চাই যে রাষ্ট্রে আর কোনো স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব না হয়। তিনি বলেন, এই দেশে ২০০ বছরের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি যেভাবে শোষণ করেছিল তার চেয়েও বেশি লুটপাট করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। ৩০ লাখ কোটি টাকার জনগণের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। চার লাখ কোটি টাকা ব্যাংকের ঋণ রেখে গেছে। আড়াইহাজার কোটি টাকার মেগা দুর্নীতি করেছে হাসিনার সরকার। তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী দুর্নীতির কথা মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।  আওয়ামী লীগ জন্ম থেকে কখনোই গণতন্ত্রকে রক্ষা করেনি। যখন ক্ষমতায় গেছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হরণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। 
উল্লেখ্য, রাজধানীর নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ব্যানারে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। 
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স